ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

স্বৈরাচরী সরকার থেকে মুক্ত হতে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ-খসরু

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় দেশের মানুষ নিরাপদ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। স্বৈরাচরী সরকার থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই জাতীয় ঐক্য মুক্তির সনদ এনে দেবে।

তিনি আজ (২২ সেপ্টেম্বর) শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে সাবেক হুইপ ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। 

খসরু বলেন, ভাষা আন্দোলন ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যেখানে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল সেখানে স্বৈরাচার পরাজিত হয়েছে। দেশের মানুষ আজ তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। যারা ঐক্যের পক্ষে থাকবে না, তারা জাতির কাছে কলংকিত, তাদেরকে জবাবদিহী করতে হবে। এবারের আন্দোলন হবে নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য, নিরাপদে ভোট দেওয়ার জন্য, নিরাপদ পুলিশের জন্য ও জাতির নিরাপত্তার জন্য। নিরাপদ গণতন্ত্রে আইনের শাসন থাকতে হবে।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, আজকের বাংলাদেশকে নিরাপদ বলা যায় না। আওয়ামীলীগ প্রস্তুতি নিচ্ছে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করার, গায়েবী মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রাণী করার। ইভিএম মেশিন দিয়ে ভোট কারচুপির নির্বাচন করার। বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে নির্বাচন করার। কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি হচ্ছে দেশের জনগণ। বিএনপির নির্ভরতা দেশের জনগণের উপর। তাই বেগম জিয়াকে জেলে রেখে আসম যে নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে তা হবে না। বেগম জিয়াকে মুক্ত করেই এদেশে নির্বাচন হবে।

.

তিনি বলেন, সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম খুব সাধারণ জীবন যাপন করতেন। রাজনীতিবিদদের কাছে মানুষ যে ধরনের জীবন যাপন আশা করে ওয়াহিদ্লু আলম ছিলেন তার থেকে ব্যতিক্রম। তিনি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তিনি দলের দু:সময়ে চট্টগ্রামের আন্দোলন সংগ্রামের সম্পৃক্ত ছিলেন। দলের প্রতি দরদী ছিলেন। নেতাকর্মীদের প্রতি তার ভালবাসা ছিল প্রখর। আজকের এই শোক সভা তার প্রতি ভালবাসার প্রতিফলন।

সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ১৯৭৮ সালে শহীদ জিয়া যখন জাতীয়তাবাদী যুবদল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তখন থেকেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমিও ওয়াহিদুল আলম এক সাথে কাজ করেছিলাম। তিনি দলের জন্য ৪০ বছর ধরে বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করেছেন। ওয়াহিদুল আলম ছিলেন বাস্তবিক অর্থেই গণমানুষের নেতা, মাটি ও মানুষের নেতা। তিনি বলেন, রংপুরে কাদের সিদ্দিকী জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছেন, বেগম জিয়াকে যে বিচারপতি মিথ্যা সাজা দিয়েছে, সেই বিচারপতিদেরও বিচার হবে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে সরকার জোর করে দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছে। বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য। কিন্তু সরকার যতই ষড়যন্ত্র করুক। তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হবে না। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেগম রোজী কবীর বলেন, সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম শুধু জনপ্রিয় নেতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন কর্মীবান্ধব নেতা। দল ও দলের নেতাকর্মীদের দু:সময়ে তিনি সব সময় পাশে থাকতেন। এ গুণী ব্যক্তি আমাদের মাঝে তার কর্মের গুণে বেঁচে থাকবেন। দল ও দেশের বিভিন্ন সংকটকালে তার সাহসী ভূমিকা বিএনপি নেতাকর্মীরা আজীবন স্মরণ রাখবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম ছিলেন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তার কর্মের প্রতি তিনি ছিলেন দায়িত্বশীল। তার কর্মে গুণে তিনি চট্টগ্রামবাসীর হৃদয়ে বহুদিন বেঁচে থাকবেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক ফজু বলেন, সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম ছিলেন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। দলের প্রতি তার আনুগত্য ও রাজনৈতিক দৃঢ়তা ছিল অপরিসীম। তিনি তার জীবদ্দশায় সব সময় দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। যারা দেশের জন্য ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করে তারা যুগ যুগ ধরে তাদের কর্মের জন্য অবিস্মরণীয় হয়ে থাকেন।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সরকার আরেকটি ৫ জানুয়ারী মার্কা নির্বাচন করার জন্য নেতৃকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দিয়ে বিকাশ এমপিরা আজকে যাত্রা পার্টিতে পরিণত হয়েছে। এখন দেশের যে অবস্থা চলছে, মনে হচ্ছে কবরস্থানও পাহারা দিতে হবে। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা গতকাল যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তার জাতির জন্য লজ্জাজনক তারা পারে নাই যে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবর থেকে হাড্ডি তুলে নিয়ে তাদের নেত্রীকে দিয়ে আসতে। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে আরেকটি কালো আইন করে গণমাধ্যেেমর বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। তারা তারেক রহমানের তদন্ত কর্মকর্তা বদল করে তাকে আরেকটি মিথ্যা সাজা দেয়ার পাঁয়াতারা করছে। তিনি সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।

মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম ও ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের সঞ্চালনায় শোক সভায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েল, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সামশুল আলম, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের কন্যা ব্যরিষ্টার শাকিলা ফারজানা, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বুলবুল, উত্তর জেলা বিএনপির এম এ হালিম, আলহাজ্ব সালাহউদ্দিন, অধ্যাপক ইউনস চৌধুরী, বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মুক্তি, হারুন জামান, সোহরাব কোম্পানী, লায়ন কামাল উদ্দিন, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির এনামুল হক এনাম, বিএনপি নেতা নুরুল আমিন, আলী আব্বাস, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, কাজী বেলাল উদ্দিন, কাউন্সিলর আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, এড. আবু তাহের প্রমুখ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print