ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমেই আওয়ামীলীগ সরকারের পরাজয় হবে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামীলীগ জাতীয় ঐক্যকে ভয় পায়। দেশের মানুষকে ভয় পায়। এই ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমেই আওয়ামীলীগ সরকারের পরাজয় হবে। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর থেকেই সরকার বিচলিত হয়ে পড়েছে। তারা পরাজয়ের ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না। দেশে আগামীতে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে আওয়ামীলীগের ভরাডুবি হবে। এই ভয়ে ভীত হয়ে আওয়ামীলীগ নির্বাচনী পরিবেশ ধ্বংস করে আরেকটি এক তরফা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হবে না।
তিনি আজ (২০ অক্টোবর) শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের উদ্যোগে তারেক রহমানকে ফরমায়েশী রায়ে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহমদ সড়কে কেন্দ্রঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এসময় ডা. শাহাদাত আরো বলেন, সরকার গণতন্ত্রকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। মানুষের কথা বলার অধিকারকে রুদ্ধ করার জন্য একের পর এক কালো আইন করে যাচ্ছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য কথা বলে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেয়া হচ্ছে। গণগ্রেফতার করে গায়েবী মামলা দিয়ে এবং গুম, খুন করে বিরোধী দলকে দমন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন গায়েবী মামলায় ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত, বিদেশে অবস্থানরত ও মৃত ব্যক্তিদের পুলিশ কর্তৃক আসামী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত এখনো অব্যাহত রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নির্দেশে পুলিশ এসব অন্যায় কর্ম করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশকে পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। পুলিশ ঠিক করছে, কোনটা করা যাবে কোনটা করা যাবে না। সরকার ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য পুলিশের সাথে চুক্তি করেছে বলে মনে হচ্ছে। দেশে এখন কোন আইনের শাসন নেই। এই সরকার স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, আমরা গণতন্ত্রের কথা বলছি, কিন্তু সরকার গণতন্ত্রকে গণহীন করে তুলেছে। সরকারের সমালোচনা করলেই তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে আখ্যায়িত করছে। সরকার বিরোধী মতকে মোটেই সহ্য করতে পারছে না। তাদের চোখে ছানি পড়ে গেছে, তারা আসল জিনিসটা দেখতে পারছে না। তারা পুরো দেশটাকে এখন কারাগারে পরিণত করেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে ছোট কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তারেক রহমানকে রাজপথে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে মিথ্যা সাজানো মামলায় ফরমায়েশী রায়ে সাজা দিয়েছে। এ রায় ন্যায় বিচারের পরিপন্থি।
চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরীর পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সিনিয়র সহ সভাপতি ফাতেমা বাদশা, সহ-সভাপতি শাহেদা বেগম, মারিয়া সেলিম, রেণুকা বেগম, জান্নাতুল নাঈম রিকু, ফরিদা আকতার, নার্গিস বেগম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ছকিনা খাতুন, যুগ্ম সম্পাদক আঁখি সুলতানা, আরজুন নাহার মান্না, রেজিয়া বেগম মুন্নি, মাহমুদা সুলতানা ঝর্ণা, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়া আকতার উষা, গুলজার বেগম, সায়েরা বেগম, জাহানারা বেগম, কামরুন নাহার, দেওয়ান মাহমুদা আকতার লিটা, নাসরিন বাপ্পি, ফারহানা আকতার, পারভীন চৌধুরী, ইসমত আরা জেরিন, হেনা মনোয়ার, জান্নাতুল ফেরদৌস, নুরী ইউসুফ, ফাতেমা কাজল, কানিজ ফাতেমা, রোখসানা বেগম, হাবিবা সুলতানা, জোহরা বেগম, ফাতেমা বেগম, রোকেয়া বেগম ও পপি আকতার প্রমুখ।
