ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ব্যবসা ও ক্রীড়াঙ্গনে সফল মানুষ তরফদার রুহুল আমিন

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে ১৮ মিনিট

তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। সফল ব্যবসায়ী ও ফুটবলপ্রেমী। তাঁর মালিকানাধীন সাইফ পাওয়ারটেক এই দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। তরফদার রুহুল আমিনের ব্যবসায় জগতে পদার্পণ ২৬ বছর ধরে হলেও তিনি সার্বজনীন পরিচিতি পেয়েছেন ২০১৫ সাল থেকে। আর সেটাও ক্রীড়াঙ্গনের সাথে জড়িয়ে। তার মালিকানাধীন সাইফ পাওয়ারটেকের পৃষ্ঠপোষকতায় চট্টগ্রামে আয়োজিত হয় শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব গোল্ডকাপ ফুটবল। সেই আসরের ব্যাপক সাফল্যের পরেই মুলত তরফদার রুহুল আমিন ব্যবসায়ী থেকে হয়ে উঠেন ক্রীড়াঙ্গনের প্রিয় মানুষ।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফুটবল যেখানে হারিয়ে যেতে বসেছিলো এই বাংলাদেশে, তিনি সেই ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে উজ্জীবিত হন। নামেন মাঠে। তারপর একে একে তার বিজয়। তিনি চান ক্রিকেটের মতো ফুটবলকে দিয়ে বিশ্ব বাংলাদেশকে চিনুক। দেশের আনাচে কানাচে প্রতিটি এলাকার ফুটবল খেলোয়াড়দের পরিচর্যা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা হোক। আর সেই স্বপ্ন ও স্বপ্নমানব যিনি, তিনিই তরফদার রুহুল আমিন।

তার ব্যবসায়ী জীবন ও ফুটবল প্রেমিক হয়ে উঠার কাহিনী জানিয়েছেন পাঠক ডট নিউজের কাছে। তার সাথে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে এসেছে তার জীবন উত্থানের নানা অজানা কাহিনী।

সাইফ পাওয়ারটেক চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল টার্মিনাল অপারেটর প্রতিষ্ঠান। এর যাত্রা শুরু হয়েছিলো ২৬ বছর আগে। তিনি জানান, সেই যাত্রা এখনো শেষ হয়নি। আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। মাত্র তিন জন নিয়ে সাইফ পাওয়াটেক যে অজানা গন্তব্যের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল, তা আজ অনেকজনের। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে আজ সেটি কোম্পানিতে পরিনত হয়েছে।

১৯৯১ সালে যাত্রা শুরুর কন্টকাকীর্ণ সেই স্মৃতিচারণ করে এই জীবনযোদ্ধা জানান, আজকের যে সাইফ পাওয়ারটেক তা আমার ও আমার কর্মীদের বিন্দ বিন্দু ঘামে গড়া। আমাদের যাত্রা শুরুর পথ মসৃণ ছিলো না। কত রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি। আমি মনে করি সাইফ পাওয়ারটেক একটা পরিবার। সেই পরিবারে আমি আমার প্রতিটি কর্মীকে আত্মার আত্মীয় ভাবি।

তিনি আরও জানান, আমার এ যাত্রার পথ কখনো মসুণ হয়ে উটে না। জোয়ার ভাটার মতো। সংগ্রাম আর সংগ্রাম। আমাদের সংগ্রাম করে যেতে হয়।
তবে এটাকে তিনি অ্যাডভেঞ্চারই মনে করেন। আর তা না থাকলে কাজে সফল হওয়া যায়না বলেও মন্তব্য করেন রুহুল আমিন। চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম বলেই ২০০৭ সালে জাহাজের টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম তিন দিনে আনতে পেরেছি। সবার নিরলস পরিশ্রমে আজ এ অবস্থায় আসা সম্ভব হয়েছে, জানান তরফদার রুহুল আমিন।

.

‘বন্দরের একটি বড় দায়িত্ব আমরা পালন করছি। সবার সহযোগিতার কারণে গত বছর ১৪ লাখ ২৩ হাজার টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করতে পেরেছি। আমরা চাই আরও বেশি হ্যান্ডলিং করে বন্দরের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে।’ জানান তিনি।

বন্দরের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে শ্রমিক-কর্মচারীরা দিন রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করে। বছরে কেবল দুই দিন ছুটি পায়। তাও রাত ১২টায় কাজে যোগ দিতে হয়।
তার কথার সূত্র ধরে জানা যায়, সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুৎ প্যানেলের ব্যবসাসহ সার কারখানার মেরামত ও সংস্কারের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমানে এতে আড়াই হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। বার্ষিক লেনদেন দেড়শ কোটি টাকা।

তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন আরও জানান, এখানে প্রায় ২০ হাজার শেয়ারহোল্ডার আছে। এর মধ্যে অনেকেই চট্টগ্রামের লোক। অর্থাৎ সাইফ পাওয়ারটেকের মালিক আমি একা নই, চট্টগ্রামবাসীও এর অংশীদার।

শুরুর কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ১৯৯২ সালে মংলা বন্দরে সার্ভে ইক্যুইপমন্টে সরবরাহের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু। চট্টগ্রাম বন্দরে জেনারেটর সরবরাহের মধ্য দিয়ে ২০০২ সালে শুরু করি। এরপর কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে করতে এ পর্যায়ে আসা।

বন্দরে সাইফ পাওয়ারটেকের কাজের অগ্রগতির কথা জানাতে গিয়ে জানান, আগে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি জাহাজ থেকে পণ্য নামাতে সময় লাগতো ৭ থেকে ১০ দিন। একটি কনটেইনার জাহাজ থেকে উঠানো নামানো ও শেড থেকে খুঁজে বের করার জন্য অতিরিক্ত খরচ হতো ২ হাজার টাকা। এখন জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে সময় লাগে ৩দিন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বন্দরের শেডে পড়ে থাকা কনটেইনারের অবস্থান জেনে যাচ্ছে আমদানি-রফতানিকারকরা বিনা খরচে।

আর সবচেয়ে বড় কথা সাইফ পাওয়াটেক দেশি কোম্পানি। এর আয় দেশে থাকবে। আয়কর পাবে বাংলাদেশ সরকার।

.

এদিকে ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার সামলানোর দায়িত্বে থাকা বেসরকারি বার্থ অপারেটর সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডকে এবার নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) দুটি জেটি পরিচালনার দায়িত্ব পায়। এনসিটির চার ও পাঁচ নম্বর জেটি পরিচালনার এই কাজে সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে অংশীদার হিসাবে থাকে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের মালিকানাধীন এম এইচ চৌধুরী লিমিটেড ও নোয়াখালী সদর আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর এ অ্যান্ড জে ট্রেডার্স। এই ‘জয়েন্ট ভেঞ্চারে’ মেয়র ও সাংসদের কোম্পানির অংশীদারিত্ব থাকে ৩০ শতাংশ করে। বাকি ৪০ শতাংশ সাইফ পাওয়ার টেকের হাতে।

চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে বেসরকারি অপারেটরদের সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তি সই হয়। বন্দরের পক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং বেসরকারি অপারেটরদের পক্ষে সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুসারে ২০১৫ সালের পর থেকে আগামী দুই বছরে এনসিটির চার ও পাঁচ নম্বর জেটিতে মোট সাত লাখ এক হাজার চারশ কনটেইনার ওঠা-নামার কাজ করবে দায়িত্ব পাওয়া অপারেটর। বন্দরের হিসাবে এ কাজের সম্ভাব্য দর ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা। আর কাজ পাওয়া তিন কোম্পানি দর নেয়৪৯ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯টি জেটিতে জাহাজ ও কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি)। ২০১৫ সালে ১৩০ বছরের সবোর্চ্চ কন্টেইার হ্যান্ডেলিং হয়েছে। একই বছর সাড়ে ২৪ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করা হয়েছে বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে।

সেসব যদিও আজ অতীত, সেই অতীত থেকেই শিক্ষা লাভ করেছেন তিনি, এমটিই জানান রুহুল আমিন। তিনি জানান, আমরা আমাদের দক্ষতা জনবলের সক্ষমতা দিয়ে বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে সফলতা আনতে পেরেছি। আমরা প্রতিনিয়তই আমাদের কাজের গুণগতমান বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছি। আমার এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। আমরা সমালোচনাকে উড়িয়ে না দিয়ে আমসলে নেই। চুলচেরা বিশ্লেষন করে দেখি আমাদের কাজের কোথাও কোন ভ’ল আছে কিনা। থাকলে তা আন্তরিকতার সাথে সংশোধন করে নেই। চুক্তি সইয়ের পর বন্দরে যখন সাইফ পাওয়ারটেক কাজ শুরু করে তখন তাকে পড়তে হয় নানা বিপত্তির মুখে।

.

চট্টগ্রাম বন্দর অচল করে দেওয়ার হুমকি,ধামকিসহ নানা হাঁক-ডাক আসেেত থাকে বিভিন্ন দিক থেকে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর তখন অভিযোগ ছিলো, চট্টগ্রাম বন্দর মাফিয়া চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। আর এ ‘মাফিয়া চক্রের হোতা সাইফ পাওয়ার টেক’ বন্দরকে জিম্মি করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ পথে লুটপাট করে নিচ্ছে। কিন্তু তার এতো হাঁকডাকের পরও বন্দর পরিচালনায় সাইফ পাওয়ার টেকের কাজ প্রশংসনীয় হয়েছিলো। তাদের তত্ত্বাবধানে বন্দরে বেড়েছে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের পরিমাণ।

২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর ভবন ফটকে শ্রমিক-জনতার জনসভার ডেকেছিলো বন্দর রক্ষা পরিষদ। এর আগে মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছিনে বন্দর রক্ষা পরিষদ নেতা ওয়াহেদ উল্লাহ সরকার।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছিলেন, সাইফ পাওয়ার টেকের সঙ্গে সম্পাদিত সব চুক্তি বাতিল করে প্রতিষ্ঠানটিকে কালোতালিকাভুক্ত করতে হবে। লিখিত বক্তব্যে সাইফ পাওয়ারের অবৈধ কর্মকান্ড ও দুর্নীতির কিছু চিত্র তুলে ধরে বলা হয়েছিলো, চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব তহবিল থেকে ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৭ সালে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) নির্মাণ সম্পন্ন হয়। এর পর প্রায় ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এটি পুরোদমে চালু করা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড নামের ভুঁইফোড় এই প্রতিষ্ঠানটি নিয়মবহির্ভূতভাবে এবং কোনো প্রকার প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়াই পুনরায় ডাইরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথড (ডিপিএম) ভিত্তিতে কাজ বাগিয়ে এই টার্মিনাল পরিচালনার কাজ চালাচ্ছে।

.

এতে আরো বলা হয়, বন্দরের লাইসেন্স গ্রহণ এবং আরো অনেক শর্তপূরণ ছাড়াই সাইফ পাওয়ার টেক এই কাজ বাগিয়ে নেয়। সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড চট্টগ্রাম বন্দরে গ্যান্ট্রি ক্রেনের অপারেটর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবসা শুরু করে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে।, সাইফ পাওয়ার টেক কখনোই স্টিভিডোরিং কিংবা কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। এরপরও এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ায় অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কোনো লাইসেন্স এবং স্টিভিডোরিং কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও সাইফ পাওয়ার টেক চিটাগাং কন্টেইনটার টার্মিনাল (সিসিটি) এবং নিউমুরিং কন্টোইনার টার্মিনালকে (এনসিটি) সিসিটির বর্ধিতাংশ হিসেবে বেআইনিভাবে ঘোষণা করে সেখানে বার্থ অপারেটিংয়ের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। যা ছিল সম্পূর্ণ বেআইনি।

লিখিত বক্তব্যে মহিউদ্দিন চৌধুরী আরো বলেছিলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে সরঞ্জাম ক্রয় করে এনসিটি অবিলম্বে চালু করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও কোনো এক অদৃশ্য শক্তির ইঙ্গিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সরঞ্জাম ক্রয়সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের প্রশ্নে আপত্তি উত্থাপন করেছে। এর মধ্য দিয়ে এনসিটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর বিষয়টি আবারো অনিশ্চিত করে দেয়া হয়েছে এবং অবৈধ সাইফ পাওয়ার টেককে এনসিটিতে দীর্ঘমেয়াদে বিনা দরপত্রে বিনা প্রতিযোগিতায় কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি তখন আরো জানান, ইতিমধ্যে ‘বন্দর বাঁচাও, সাইফ পাওয়ার হটাও’ শ্লোগানে চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে সঙ্গত কারণেই তিনি বাধ্য হয়েছেন।

.

এর ২দিন পর বুধবার দুপুরে বন্দরের পাঁচ নম্বর জেটির সম্মুখে আয়োজিত ডক বন্দর শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন এক শ্রমিক সমাবেশে মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘বন্দরকে লুটপাট করে খাচ্ছে’ এমন পাঁচ ব্যক্তিকে ডাকাত আখ্যায়িত করে বলেন, ‘লতিফ্যে ডাহাইত (বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ), বিচ্চুইয়ে ডাহাইত (পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী), সাইফ ডাহাইত (বেসরকারি বার্থ অপারেটর সাইফ পাওয়ার টেক), এলিট্যে ডাহাইত (বড়তাকিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট) আর নাছির (সিটি করপোরেশনের মেয়র) অইয়ে দে ডাহাইতের বড় ভাই (নাছির হচ্ছেন ডাকাতদের বড় ভাই)। তারা ভাগজোগ গরি হার (তারা সবাই মিলেমিশে খাচ্ছে)।’ তিনি সমাবেশে বলেন, এ চার-পাঁচজন ব্যক্তি বসে বন্দরকে লুটপাট করে খাবে তা হতে পারে না। বন্দর তারার বাপের দিন্যে সম্পত্তি নঅ (বন্দর তাদের বাপের সম্পত্তি নয়) বলেও জানান তিনি।

সেসব যদিও আজ অতীত। আর সেই অতীত থেকেই শিক্ষা লাভ করে সামনে এগিয়েছেন তিনি, এমনটিই জানান তরফদার রুহুল আমিন। বন্দরে কনটেইনার ওঠানামার জন্য আরও নতুন তিনটি অত্যাধুনিক ‘গ্যান্ট্রি ক্রেন’ পেয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর জাহাজ থেকে জেটিতে নামানোর পর গ্যান্ট্রি ক্রেনগুলো ট্র্যাকে বসানো হবে। এগুলো কাজ শুরু করলে পণ্য খালাসের গতি আরও বাড়বে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরভিত্তিক বেসরকারি অপারেটর সাইফ পাওয়ার টেক চীন থেকে এসব গ্যান্ট্রি ক্রেন এনেছে। গত আগস্টেও এসেছিল তিনটি গ্যান্ট্রি ক্রেন। সেগুলো ইতোমধ্যে এনসিটির জেটিগুলোতে বসানো হয়েছে এবং সেগুলো কাজও শুরু করেছে। চুক্তি অনুযায়ী আরও চারটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন আসবে আগামী বছরের মে মাসে।

এনসিটির ৩, ৪ ও ৫ নম্বর জেটিতে দুটি করে মোট ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের। এসব গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে কনটেইনার টার্মিনালের জেটিতে জাহাজ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনটেইনার ওঠানামা করা যাবে।

.

তিনি জানান, আমরা আমাদের দক্ষতা, জনবলের সক্ষমতা দিয়ে বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে সফলতা আনতে পেরেছি। আমরা প্রতিনিয়তই আমাদের কাজের গুণগতমান বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছি। আমার এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। আমরা সমালোচনাকে উড়িয়ে না দিয়ে আমলে নেই। চুলচেরা বিশ্লেষন করে দেখি আমাদের কাজের কোথাও কোন ভ’ল আছে কিনা। থাকলে তা আন্তরিকতার সাথে সংশোধন করে নেই। চলতি বছরের ৭মে তরফদার মো. রুহুল আমিন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক নির্বাচিত হন।

বন্দরে কনটেইনার ওঠানামার জন্য আরও নতুন তিনটি অত্যাধুনিক ‘গ্যান্ট্রি ক্রেন’ পেয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। জাহাজ থেকে জেটিতে নামানোর পর গ্যান্ট্রি ক্রেনগুলো ট্র্যাকে বসানো হবে। এগুলো কাজ শুরু করলে পণ্য খালাসের গতি আরও বাড়বে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরভিত্তিক বেসরকারি অপারেটর সাইফ পাওয়ার টেক চীন থেকে এসব গ্যান্ট্রি ক্রেন এনেছে। গত আগস্টেও এসেছিল তিনটি গ্যান্ট্রি ক্রেন। সেগুলো ইতোমধ্যে এনসিটির জেটিগুলোতে বসানো হয়েছে এবং সেগুলো কাজও শুরু করেছে। চুক্তি অনুযায়ী আরও চারটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন আসবে আগামী বছরের মে মাসে।

এনসিটির ৩, ৪ ও ৫ নম্বর জেটিতে দুটি করে মোট ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের। এসব গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে কনটেইনার টার্মিনালের জেটিতে জাহাজ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনটেইনার ওঠানামা করা যাবে। তার কথার সূত্র ধরে জানা যায়, সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুৎ প্যানেলের ব্যবসা ছাড়াও সার কারখানার মেরামত ও সংস্কারের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমানে এতে আড়াই হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে।

তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, এখানে প্রায় ২০ হাজার শেয়ারহোল্ডার আছে। এর মধ্যে অনেকেই চট্টগ্রামের লোক অর্থাৎ সাইফ পাওয়ারটেকের মালিক আমি একা নই, চট্টগ্রামবাসীও এর অংশীদার।

শুরুর কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ১৯৯২ সালে মংলা বন্দরে সার্ভে ইক্যুইপমন্টে সরবরাহের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু। চট্টগ্রামে বন্দরে জেনারেটর সরবরাহের মধ্য দিয়ে ২০০২ সালে শুরু করি। এরপর কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে করতে এ পর্যায়ে আসা।

.

বন্দরে সাইফ পাওয়ারটেকের কাজের অগ্রগতির কথা জানাতে গিয়ে জানান, আগে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি জাহাজ থেকে পণ্য নামাতে সময় লাগতো ৭ থেকে ১০ দিন। একটি কনটেইনার জাহাজ থেকে উঠানো নামানো ও শেড থেকে খুঁজে বের করার জন্য অতিরিক্ত খরচ হতো ২ হাজার টাকা। এখন জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে সময় লাগে ৩দিন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বন্দরের শেডে পড়ে থাকা কনটেইনারের অবস্থান জেনে যাচ্ছে আমদানি-রফতানিকারকরা বিনা খরচে।  আর সবচেয়ে বড় কথা সাইফ পাওয়াটেক দেশি কোম্পানি। এর আয় দেশে থাকবে। আয়কর পাবে বাংলাদেশ সরকার।

এদিকে চলতি বছরের ৩০ মে বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) আরও ২টি জেটি পরিচালনার জন্য বেসরকারি সংস্থা সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এনসিটিতে মোট ৫টি বার্থ রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর বার্থটি পানগাঁও টার্মিনালের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। অপর ৪টির মধ্যে গত জুলাইয়ে ৪ ও ৫ নম্বর জেটির অপারেটর নিয়োগ করা হয়েছিল সাইফ পাওয়ার টেকের নেতৃত্বে গঠিত একটি কনসোর্টিয়ামকে। আর ২ ও ৩ নম্বর জেটির জন্য এককভাবে অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাইফ পারওয়ার টেককে। এর মধ্যে দিয়ে মূলত পুরো এনসিটি পরিচালনার দায়িত্বই পেয়ে গেল বেসরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি।

.

চট্টগ্রামে মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির অংশ হিসেবে বন্দর এলাকায় মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি দেয় সাইফ পাওয়ারটেক। যাতে তারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে। এছাড়া আবাহনী লিমিটেডের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আবাহনীকে দেশের এক নম্বর ফুটবল দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলেও চলছে অন্ধকার যুগ। দায়সারাভাবে দর্শকশুন্য মাঠে চলছে লীগসহ অন্যান্য আসর । কিন্তু চরম পরিকল্পনাহীনতায় এসব আয়োজন থেকে আসছে না কোন কাঙ্খিত ফল । তার উপর আছে পাতানো খেলার সাথে বিশেষ দলকে প্রাধান্য দেয়ার প্রবনতা । আর এসব করা হচ্ছে খোদ বাংলাদেশের অভিভাবক সংস্থা ‘বাফুফে’ র কর্তাব্যক্তিদের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তে । যা নিয়ে মাঝে মাঝেই ফুঁসে উঠছে এই দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। তারই একজন তরফদার রুহুল আমিন।

গত মে মাসের দিকে তরফদার রুহুল আমিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং মহাসচিব পদে সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন নির্বাচিত হয়েছেন। বাফুফের গন্ডি থেকে বেরিয়ে সারা দেশে ফুটবলকে ছড়িয়ে দিতে নিজেদের উদ্যোগে ৮টি বিভাগ ও ৬৪টি জেলার ফুটবল সংগঠকদের গঠিত হয়েছে এই অ্যসোসিয়েশন। এই অ্যসোসিয়েশন থেকেই এখন থেকে জেলা পর্যায়ে পরিচালিত হবে বিভিন্ন ফুটবল আসর । যা পারে নি বাফুফে’র বর্তমান কমিটি , সেটাই এবার করে দেখাতে চায় জেলা ফুটবল অ্যসোসিয়েশন ।

.

অনেকেই নাসির ও তরফদার জুটির এই উদ্যোগকে বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য দেখছেন নতুন আশার আলো হিসেবে । ধারণা করা হচ্ছে উজ্জীবিত বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এর নতুন কমিটি দিয়েই ফুটবলকে ঢেলে সাজানো হতে পারে।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আগামী নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হবেন জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসসোসিয়েশনের মহাসচিব তরফদার রুহুল আমিন। কক্সবাজারে সংস্থাটির ইজিএমে সর্ব সম্মতিতে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি, চট্টগ্রাম মেয়র আ.জ.ম নাছির। এসময় সংগঠকটির মহাসচিব তরফদার রহুল আমিন বলেন, ‘সুযোগ পেলে ফুটবলের বর্তমান দুরাবস্থার মুক্তি আনবোই।’

ক্রীড়াঙ্গনে তরফদার রুহুল আমিনের আগমন মুলত চট্টগ্রাম আবাহনীর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার মধ্য দিয়ে । ২০১৫ সালের মাঝামাঝি তিনি চট্টলার ক্লাবটির নতুন কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান । এরপর থেকেই তিনি ফুটবলে চেষ্টা করেন তার আধুনিক চিন্তাধারার প্রয়োগ ঘটাতে ।

.

শুরু থেকেই সৃজনশীল নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া তরফদার রুহুল আমিনের জন্য শেখ কামাল গোল্ড কাপ ফুটবল ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। মাত্র মাস দুয়েকের পরিকল্পনায় প্রথমবারের মতো শেখ কামাল গোল্ড কাপের সফল আয়োজন সম্ভব করে দেখান তিনি । সাত কোটি টাকার এই বিশাল বাজেটের আসরে তার সাইফ পাওয়ারটেক দিয়েছে ৬৫ শতাংশ। ২০১৫ সালের পর ২০১৬ সালেও সফলভাবে আয়োজিত হয় শেখ কামাল গোল্ড কাপ ।

শেখ কামাল গোল্ড কাপের সফল আয়োজনের পরেই বাংলাদেশের ফুটবলের জনপ্রিয়তা ফেরানোর জন্য নতুন ভাবনা নিয়ে মাঠে নামেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করেন, নির্দিষ্ট পরিকল্পনায় এগুতে পারলে বাংলাদেশের পক্ষে ২০৩০ বা ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপেও খেলা সম্ভব। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের স্পন্সর স্বত্ব কিনে নিয়েছে রুহুল আমিনের সাইফ গ্লোবাল স্পোর্টস লিমিটেড (এসজিএস)।

সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় দুসংবাদ হয়ে এসেছে বাফুফে’র বর্তমান কমিটি । বিশেষ করে বর্তমান সভাপতি কাজি সালাহউদ্দিন আমলে বাফুফে যতটা ব্যর্থ, তেমনটা বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনও দেখা যায় নি ।

এমন অবস্থায় বহুদিন ধরেই দাবী উঠেছে , সালাউদ্দিনসহ বর্তমান বাফুফে কমিটির অপসারণ । যদিও কোন এক রহস্যজনক কারণে কিংবা বলা যেতে পারে অদৃশ্য খুঁটির জোরে সালাউদ্দিনরা টিকে আছেন বহাল তবিয়তে । তবে সেই অবস্থার মনে হয় ধীরে ধীরে হলেও পরিবর্তন হতে চলেছে । এর মধ্যেই বাফুফের বর্তমান নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে মাঠে আছেন তরফদার রুহুল আমিন।

.

সেই কারণেই হয়ত এখন অনেকের মতো আর বাফুফের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না ফুটবল-প্রেমিক রুহুল আমিন। সেই কারণেই তিনি দেশের ফুটবলকে জাগাতে নজর দিয়েছেন জেলা ফুটবলের দিকে । তরফদার রুহুল, আমিন সব সময়েই বলে আসছেন , শুধু ঢাকা ভিত্তিক রেখে এই দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না । ফুটবলকে ছড়িয়ে দিতে হবে দেশব্যাপি । গত পেশাদার ফুটবলের সময়েও এই দাবী নিয়ে সোচ্চার ছিলেন তিনি ।

এদিকে সারা দেশের সাথে চট্টগ্রাম বিভাগ নিয়েও আলাদাভাবে কাজ করছেন তরফদার রুহুল আমিন । চট্টগ্রাম আবাহনীর সভাপতি হিসেবে তিনি আগে থেকেই পরিচিত । তাই ফুটবকলপ্রেমীদের অভিমত, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পর এবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল কমিটির সভাপতি হয়ে কাজের পরিধি আরও বেড়ে গেলো তরফদার রুহুল আমিনের। এভাবেই ধাপে ধাপে তিনি প্রমাণ করে একদিন বাংলাদেশের ফুটবলের যোগ্য অভিভাবক হবেন , এমনটা ভাবার মতো মানুষেরও অভাব নেই। যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ভুগতে থাকা বাফুফে’কে জাগাতে একজন তরফদার রুহুল আমিন বড় প্রয়োজন। রুহুল আমিন তাই এগিয়ে চলেছেন দৃপ্ত পদক্ষেপে সেই সঠিক পথেই।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print