ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

অপশক্তির চোখ রাঙ্গানি আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে পারবেনা : আবু সুফিয়ান

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের বিএনপির মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের গণজোয়ার সৃষ্টি হওয়াতে প্রতিপক্ষ বারংবার আমার নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা করছে। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, কোন অপশক্তির চোখ রাঙ্গানি ও হুমকিতে আমি নির্বাচন থেকে দূরে সরে যাবোনা। আমরা কোন অপকৌশলে নয় বরং ব্যলটের মাধ্যমে হামলা-মামলার জবাব দিবো।

তিনি আজ রবিবার (২৩ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কতা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আবু সুফিয়ান বলেন, আমরা দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে, দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার ও দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে নির্বাচনে এসেছি। আমরা মনে করে ছিলাম, একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু আজকে সরকারি দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা নির্বাচনকে একটি আতংকের জায়গায় নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমি বিগত দিনে আমার সংসদীয় আসনে যেখানেই গণসংযোগে গিয়েছি সেখানেই ধানের শীষের পক্ষে ব্যপক সাড়া পেয়েছি। ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমি মানুষরে ভালবাসা পেয়েছি, আস্থা পেয়েছি তাই আমি পুরো নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছি।

বিগত ১০ দিনে চট্টগ্রাম-৮ নির্বাচনী এলাকা থেকে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে ছিলো গায়েবী মামলা এখন তার সাথে কিছু অনুষঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে জাল টাকা ও অস্ত্র আইনের মামলা। এটি সবচেয়ে দূর্ভগ্যজনক ব্যাপার রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির মামলা হচ্ছে। গত সাপ্তাহে বায়েজিদ থানা যুবদল নেতা আসাদুজ্জামান রুবেলকে বায়েজিদ থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে জাল টাকার মামলা দেয়া হয়েছে। তার দুই দিন পর ৬ নং ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইস্কান্দারকে আমার ব্যানার লাগানোর সময় গ্রেফতার করে জাল টাকার মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

.শনিবার রাতে আবু সুফিয়ানের বাড়ীতে হামলার ছবি

তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনী অফিসে তিন বার হামলা হয়েছে। সবশেষ গতকাল (শনিবার) রাতে বোমা হামলা হয়েছে। গতকালের হামলা ছিলো পরিকল্পিত ও নৃশংস। দুই শতাধিক সন্ত্রাসী মুখ বেঁধে আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ১টি পিকআপ, ১টি কার, ১০টি মোটর সাইকেল ও দুইটি সিএনজি, অফিসের আসবাবপত্র ও অন্যান্য সারঞ্জামাদি ভাংচুর করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী অফিসে ভাংচুরের পর আমি সাথে সাথে নির্বাচন কমিশন সচিব ও জেলা রিটার্নি কর্মকর্তা ও পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করেছি। উপর থেকে তাৎক্ষণিক সাড়া পেলেও আমরা দেখেছি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আসকারা দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

আবু সুফিয়ান সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, আমি রাতেই এই ঘটান জানিয়ে থানায় এজহার দিয়ে, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছি। হামলার পর রাত ১১টার সময় নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত আমার দুই ড্রাইভার ও একজন ব্যাক্তিগত কর্মকর্তা যখন বাসা থেকে যাচ্ছিলো তখন তাদের রাস্তা থেকে গ্রেফতার করে জাল টাকায় মামলা দিয়েছে।

পুলিশ প্রশাসানের নিলর্জ্জ আচরণ নির্বাচনী পরিবশে কলুষিত করছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসন, নির্বাচন কর্মকর্তা ও দেশবাসীকে জানাতে চাই আমাদের উপর কি পরিমাণ অন্যায়,যুলুম ও নির্যাতন চালানো হচ্চে। আমি এখনো প্রশাসনকে অনুরোধ করবো আপনারা নিরপেক্ষভাবে আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন। নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটা পরিবেশ সৃষ্টি করুন। মানুষ যেন অবাধে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করুন।আর যদি সেটা করতে ব্যার্থ হন ইতিহাসের কাঠগড়ায় আপনাদের দাঁড়াতে হবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print