
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
জেলার সাতকানিয়ার চরতী ইউনিয়নে ৩ জামায়াত নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। বৃহষ্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে চরতী ইউননিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আবুল হাশেম, ৬ নং ওয়ার্ডের ওয়াহিদুজ্জামান ও মনছুরের বাড়িতে র্যাব তল্লাশি চালায় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এসময় আবুল হাশেমের বাড়ির ভেতরে খাটের নীচের মাটি খুঁড়ে ফেলে এবং ব্যাপক তছনছ চালায়। পরে বাড়িতে পুরুষ মানুষ কাউকে না পেয়ে বাড়ির ব্যবহারের দা-বটি ইত্যাদি নিয়ে যায়।
আজ বিকাল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযান চলছিল বলে জানিয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস দুরদানা ইয়াসমিন।
এঘটনাকে বর্ব আখ্যা দিয়ে তিব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের ধানের শীষের প্রার্থীর চিফ এজেন্ট অধ্যাপক জাফর সাদেক। তিনি বলেন, একটি সভ্য দেশে র্যাবের এমন আচরণ অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্চক। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই জুলুম নির্যাতন নজিরবিহীন। এ ব্যাপারে অবিলম্বে প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
এদিকে সাতকানিয়া জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি জামিল মাহমুদ বলেন, তাফসীল ঘোষনা আগে এবং পরে প্রতিনিয়ত গ্রেফতার, হয়রানি অব্যাহত স্বত্ত্বেও ধানের শীষের ব্যাপক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্নমুখী ষড়যন্ত্র করে শুরু করেছে।
নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর আমাদের সমর্থক দ্বারা বিভিন্ন জায়গায় টাঙ্গানো পোষ্টার নৌকা প্রার্থীর লোকজন নির্বাচনী প্রচারনার মাইক ভেঙ্গে ফেলে,গাড়ি ভাংচুর করেছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রকাশ্যে ধানের শীষের নেতা কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, নৌকার প্রার্থীর প্রচারনার বিভিন্ন বক্তৃতায় কেন্দ্র দখল করার হুমকি দিচ্ছে আমরা সব জায়গায় মারাত্ন্রক বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। তার সাথে আজ ২৭/১২/১৮ তারিখ নলুয়া মিছিল করার সময় নলুয়ার চেয়ারম্যান তসলিমার প্রত্যক্ষ নির্দেশে ১০ থেকে ১২ জন অগ্নিয়াস্ত্র এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পিছন দিকে হামলা করে ২জনকে গুরতর আহত করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এবং চরতিতে জামায়াত নেতা হাশেম আহমদ এর বাড়িতে র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ তল্লাশির নামে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে।
অস্ত্র নাটকের মহড়া শুরু করে। তারপরেও প্রতিটি পাড়া মহল্লায় ধানের শীষের গনজোয়ার দেখা দেখে বিরোধী প্রার্থী নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের জন্য আমরা সাতকানিয়ার প্রশাসনের সাহায্যে চাওয়ার পরেও প্রতিরাতে পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার ও হয়রানি করে যাচ্ছে।
এতবাধা স্বত্ত্বেও আমাদের নেতাকর্মীরা নৌকার লোকজনের ভোট ডাকাতি প্রতিরোধ সর্বোচ্চ ত্যাগের ভুমিকা রেখে যাবে।কোন বাধাই ধানের শীষের বিজয় ঠেকাতে পারবেনা।