ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

রাস্ট্রই এখন জনগনের প্রতিপক্ষ কিন্তু ৩০ তারিখ জনগনেরই বিজয় হবে

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম-১১ সংসদীয় আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এতো বেশী ঘটনাবহুল নির্বাচন বাংলাদেশে আর কখনো হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আমার জীবদ্দশাই এই রকম ঘটনা বহুল নির্বাচন আমি কখনো দেখিনি।  যারা ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা যে খুব বেশী লজ্জা শরম পাচ্ছে তাও কিন্তু না। তারা খুব নির্লজ্জভাবেই কাজগুলো করছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনটা এমনি একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে মনে হচ্ছে নির্বাচন হচ্ছে সরকার এবং বিরোধী দলের মধ্যে। এখানে দু’টি রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে তা আমাদের মনে হচ্ছেনা। মনে হচ্ছে সরকারের সাথে বিরোধী দলের নির্বাচন হচ্ছে। সরকারী সংস্থাগুলো যেভাবে নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে তাতে মনে হচ্ছে সরকারী প্রার্থীর সাথে বিরোধী দলের প্রার্থীর নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনে সরকারী প্রত্যেক সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বর্তমান প্রেক্ষপটে আমাদের নির্বাচনী কার্যক্রম চালানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন,  এতো বেশি লোক গ্রেফতার হচ্ছে। প্রথমে বিএনপির নেতাকর্মী ছিলো তারপর যারা আগামী নির্বাচনে এজেন্ট হবে তাদের ্এবং সমর্থকদের গ্রেফতার করছে। তারপর এখন প্রার্থীর উপর হামলা করছে। অনেক প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে গাড়ীতে পেট্রোল বোমা,পাইপগান রেখে নাটক সাজাচ্ছে। অনেকে প্রার্থীর ড্রাইভারকে জাল নোট দিয়ে মামলা সাজাচ্ছে।

পেট্রোল বামা, পাইপগান ও জাল নোট সরকারের কাছেই রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আবার টাকা ছাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে টাকাতো সরকারের কাছেই রয়েছে। সরকারি লোকজনের টাকা সুইসব্যাংকে রয়েছে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাংকে তাদের টাকা রয়েছে। বিরোধী দলের কাছে টাকা কোথা থেকে থাকবে। টাকাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে রয়েছে। এই টাকাগুলো কাদের তা সকলেই জানে।

তিনি বলেন, আবার বলা হচ্ছে বিরোধী দল ব্যালট পেপার ছাপাচ্ছে। ব্যালট পেপারতো সরকারি প্রেসে ছাপানো হয়। এটা বিরোধী দল ছাপানোর কোন সুযোগ নেই। সরকারের এই সব কথায় মনে সন্দেহ জাগে তাদের কোন পরিকল্পনা আছে। তাদের পরিকল্পনায় আছে ব্যলট পেপার, পেট্রোল বোমা নিয়ে গল্প বানাবে। আমাদের একজন প্রার্থীর বাড়ীতে পেট্রোল বোমা ও পুরাতন পাইপগান রেখে নাটক সাজিয়েছে প্রশাসন।

এসবের মাঝে কিছু হৃদয়বিদারক কাজ হচ্ছে আমি আমার এলাকার কিছু উদাহরণ দিচ্ছি। গতকাল রাতে আমাদের ২৭ নং ওয়ার্ডের কর্মী সাদ্দামের বাড়ীতে গিয়ে এমন তান্ডব চালিয়েছে যে তার মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তার কয়েকদিন আগে জেলে যাওয়ার সময় আরেকজনের মা মারা গেছে। আমাদের আরেকজন কর্মী পুলিশের তাড়া খেয়ে ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে। গতকাল আমাদের ৩/৪ জন থানা সভাপতির বাড়ীতে হামলা করা হয়েছে। তার গেইট ভাঙ্গার চেস্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যারা আজ সুরক্ষা দেয়ার কথা তারাই এখন এসব কাজে ব্যবহার হয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নাগরিক সুরক্ষার, আজ নাগরিকরা তাদের শিকার হয়ে যাচ্ছে। তারা একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে তান্ডব চালাচ্ছে।

রতিপক্ষ যদি রাজনৈতিক দল হয় তাহলে তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা যায়। প্রতিপক্ষ যখন রাষ্ট্র হয়ে যায় রাষ্ট্র যখন প্রার্থী হয়ে যায় রাষ্ট্র যখন ভোটে জিততে চায় রাষ্ট্র যখন জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে নির্বাচনে জিততে চায় তাহলে এই দেশের নাগরিকদের কি করার আছে। রাষ্ট্রকে মোকাবিলার করার সেই ক্ষমতা কি জনগণের আছে। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতাকমী, মুক্তিকামী মানুষ। সমস্ত বাংলাদেশের মানুষ ১০ বছর পর তাদের ভোটধিকার প্রয়োগ করতে উদগ্রীব হয়ে আছে। প্রায় আড়াই কোটি তরুণ সমাজ ভোট প্রয়োগ করার জন্য অধিক আগ্রহে বসে আছে।

যারা ভোটার আছে তারা কি সরকারের প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের ভোটধিকার প্রয়োগ করতে পারবে? জানিয়ে আমীর খসরু আরো বলেন,  আজ যদি আমাদের প্রতিপক্ষ একটি রাজনৈতিক দল হতো তাহলে আমরা খুশি হতাম, আনন্দিত হতাম। প্রতিপক্ষ হিসেবে আমরা পাচ্ছি রাষ্ট্রকে, রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে । রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো যখন প্রতিপক্ষ হয়ে যায় তখন সাধারণ নাগরিকদের কি করার আছে। এটাকে কোন রাজনৈতিক নির্বাচন বলা যায়না। রাজনৈতিক নির্বাচন হচ্ছে দু’টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে হয়। এটিতো রাজনৈতিক নির্বাচনের মধ্যে নাই।

তিনি বলেন, তবে আমি আশাবাদী এই দেশের ১০কোটি ভোটার তাদের ভোটধিকার প্রয়োগ করবে। তারা তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চাচ্ছে। তারা একটি নির্বাচিত সংসদ ও সরকার চাচ্ছে। তারা সব কিছুকে উপেক্ষা ভোট কেন্দ্রে যাবে। আমি বিশ্বাস করি তরুণ সমাজ উদ্যমী হয়ে ভোট দিবে। বাংলাদেশের মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হয় তখন তারা তাদের গণতন্ত্রের দাবীতে, মানবাধিকারের দাবীতে, আইনের শাসনের দাবীতে, মৌলিক অধিকারের দাবীতে যখনই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তখনই জয়ী হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি ৩০ তারিখও তারা জয়ী হবে ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print