
কক্সবাজার পৃথক অভিযানে ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ও পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারী) কক্সবাজার সড়কের বিসিক এলাকা ও বিমান বন্দর এলাকায় এসব অভিযান চালায়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান পাঠক ডট নিউজকে জানান, আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দিকে র্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের একটি টিম ঝিলংজা বিসিক শিল্প এলাকা মোড় সংলগ্ন পলি টেকনিক্যাল কলেজের সামনে বিশেষ চেক পোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি কালে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারগামী একটি ট্রাকের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা ট্রাকটিকে থামানোর সংকেত দেয়। কিন্তু চালক তাৎক্ষনিক গাড়িটিকে রাস্তার পাশে থামিয়ে দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে। এসময় চালক মোঃ জসিম (২৮) ও মোঃ আলম (৪৮) নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও মোঃ সেলিম (৩৫) নামে একজন পালয়িে যায়।
আটক দুজনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেখানো মতে ট্রাকটি তল্লাশী করে ট্রাকের ভিতরে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৪৫,৭৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় এবং ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো-ড ১১-৭৫২১) জব্দ করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা আরো জানান গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেহ তল্লাশী করে ২ টি মোবাইল সেট এবং ২ টি সীম কার্ড জব্দ করা হয়। তারা দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজশে টেকনাফ হতে কম মূল্যে ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয় করে এবং কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ২৮ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা এবং জব্দকৃত ট্রাকের আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ টাকা।
এদিকে অপর এক অভিযানে কক্সবাজার থানা পুলিশ বিমানবন্দর থেকে মো. আব্দুল্লাহ (৩০) নামে এক ইয়াবা পাচারকারীকে আটক করেছে। এসময় তার কাছ থেকে সাড়ে ৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিমানবন্দরের প্রধান ফটক থেকে তাকে আটক করা হয়। তল্লাশির সময় এই ইয়াবা ধরা পড়ে।
আটক মো. আব্দুল্লাহ টেকনাফ উপজেলার পুরাতন নয়াপাড়া এলাকার মৃত মাহমুদ উল্লাহ’র ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা পাচারে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার এএসআই আরিফ উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিমানবন্দরের প্রধান ফটকে আব্দুল্লাহ’র গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার লাগেজে সাড়ে ৪ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।