
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর ৫৭টি খাল রয়েছে। এর মধ্যে কিছু খালের সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি খালগুলোও সংস্কারের কাজ চলছে। ধীরে ধীরে সব খাল সংস্কার করা হবে। চট্টগ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবেই।
তিনি আজ শনিবার (০২ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সম্মেলন কক্ষে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি চট্টগ্রামকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন দেখার কথা উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রামকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনেক ইচ্ছা-স্বপ্ন জড়িত আছে। প্রধানমন্ত্রী সবসময় চট্টগ্রমের উন্নয়নের কথা ভাবেন। চট্টগ্রামের সকল স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। যে যেই দায়িত্বেই থাকি না কেন, সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ শেষ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম দিয়েই বাংলাদেশের অর্থনীতি পরিচালিত হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের কারণেই আমরা স্বপ্ন দেখছি। স্বপ্ন পূরণে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। তাই মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরপরেই এখানে এসেছি। সবার সঙ্গে মতবিনিময়ের আযোজন করেছি। আমরা এখানে চট্টগ্রামের সমস্যা চিহ্নিত করবো। সমস্যা সমাধানে মতবিনিময় করবো। সমাধানের পথ খুঁজে নেবো।
এলজিআরডি মন্ত্রী আরো বলেন, চট্টগ্রামের সুবিধার জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুই বাস্তবায়ন করা হবে। চট্টগ্রাম হবে আলোকিত শহর। আমরা আর পিছিয়ে থাকতে চাই না। বর্ষাকালে মানুষ যাতে অস্বস্তিকর পরিবেশে না পড়ে তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং রাস্তা আরো চওড়া করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন মানুষ। সবার মতও ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হলো একটা- চট্টগ্রামের উন্নয়ন করা। চট্টগ্রামকে দৃষ্টিনন্দন করা। চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ছিলো বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর।
তিনি আরো বলেন-গত একনেকের সভায় চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিয়ে হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে চট্টগ্রামের সমস্যা দ্রুত এগিয়ে যাবে। দেশেরও উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এসএম গোলাম ফারুক, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামী, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন উপস্থিত ছিলেন।