
রাঙামাটি (জেলা) প্রতিনিধিঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন ৯ এর সংরক্ষিত সংসদ সদস্য পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির বাসিন্দা বাসন্তি চাকমা কর্তৃক গত ২৬ ফেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করে যে উষ্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তা সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিতে জাতীয় সংসদের স্পিকারের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার রাঙামাটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানিয়েছে রাঙামাটির বিভিন্ন স্তরের সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
পার্বত্যবাসী’র ব্যানারে সকালে রাঙামাটি শহরের স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জাতীয় সংসদের কার্যবিবরনী থেকে সংসদ সদস্যের আপত্তিকর বক্তব্যগুলো এক্সপাঞ্জ করা না হলে ইতিহাসে এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় সামরিক বাহিনী ও পবিত্র ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে নির্লজ্জ মিথ্যাচার ভাষনটি একটি দলিল হিসেবে দাঁড় করাবে কুচক্রি মহল। তাই অনতিবিলম্বে বহুল বিতর্কিত রাষ্ট্র বিরোধী এই বক্তব্যটি সংসদের কার্যবিবরনী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলন থেকে। এসময় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না, কাজী মোহাম্মদ জালোয়া, পল্লব দেওয়ান, রূপকুমার চাকমা, জাহাঙ্গীর কামাল, জামাল উদ্দিন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, হাবিবুর রহমান হাবিব, নাজিম আল হাসান ও মোর্শেদা বেগম প্রমুখ।
৩৩৩ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন সাংসদ বাসন্তি চাকমার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সাম্প্রদায়িক উসকানি, পার্বত্য স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্র ও গর্বিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যেচার, বানোয়াট বক্তব্য প্রদানের বিরুদ্ধে আয়োজিত এই সংবাদ সন্মেলনের লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয় খাগড়াছড়ি ৩৩৩ নং সংরক্ষিত পার্বত্য আসন থেকে মনোনিত সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা গত ২৬ ফেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদে বক্তব্য দানকালে এক পর্যায়ে বলেন, আমি কাউকে ছোট করতে চাইনা, আবার বলেন, ৯৬ সালের ১ মে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও তৎকালীন বহিরাগতরা মিলে আল্লাহু আকবর বলে পানছড়ি ব্রীজের উপর একজন একজন করে পাহাড়ীদের জবাই করেছিল।
এ ধরনের বিতর্কিত বক্তব্যের মাধ্যমে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা কি বোঝাতে চেয়েছেন তার ব্যাখ্যা দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। বাসন্তি চাকমার দেয়া সকল মিথ্যা ও ধর্মীয় অনুভূতিসহ পার্বত্য এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে আঘাত করা বক্তব্যের জন্য জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিতর্কিত সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে প্রত্যাহারে রোববার সকালে রাঙামাটিতে মানববন্ধন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্বারকলিপি প্রদানের কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়।