
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে এ ঘটনার জের ধরে একপক্ষ শাটল ট্রেন চালককে অপহরণ করেছে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া দুর্ভেগে পড়েছে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী। পরে অবশ্য চালককে ছেড়ে দিয়েছে।

জানাগেছে, আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার আগে ষোলশহর ষ্টেশন এলাকা থেকে শাটল ট্রেনের চালককে ধরে নিয়ে যায়। চালককে ধরে নিয়ে যাওয়ার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এর আগে গতকাল মধ্যরত ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদমান দুটি পক্ষ বিজয় ও সিএফসি গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুইপক্ষই শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী বলে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের ১০-১১ শিক্ষাবর্ষের মো. ইলিয়াছ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ওবায়দুর রহমান লিমন, লোক প্রশাসন বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নিলয় হাসান, পরিসংখ্যান বিভাগের ১০-১১ বিভাগের মাহফুজুর রহমান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রিয়াম রায় প্রান্ত।

রেলওয়ে থানা (জিআরপি) ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া ট্রেনচালককে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,সকাল সাড়ে ৭টার শাটল ট্রেন চালক খোরশেদ আলমকে তুলে নিয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। এ সময় ট্রেনের হোসপাইপও কেটে দেয় তারা। এ কারণে সাড়ে ৭টা ও ৮টার নির্ধারিত শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি।। তিনি বলেন, অপহরণের একঘন্টা পরে শাটল ট্রেনের চালকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে।
চবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, আমি শহরে। তবে ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের খবর শুনেছি। এর জের ধরে এক পক্ষ ট্রেন চালককে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়ায় আপাততে ট্রেন চলছে না। কর্তৃপক্ষ পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।