যে উইকেটে সাবলীলভাবে ব্যাট করেছেন রহমত শাহ, আসগর আফগান, আফসার জাজাই, রশিদ খানরা। সেখানেই খাবি খাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতিতে আসছেন আর যাচ্ছেন তারা। সবশেষ যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিলেন মুশফিকুর রহিম। রশিদ খানের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরলেন তিনি। কিছুক্ষণ আগেই তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান।
স্বভাবতই মহাবিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান। মুমিনুল হক ২৭ রানে অপরাজিত আছেন।
চট্টগ্রাম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলীয় স্কোর বোর্ডে কোনো রান জমা করতে না পারার আগেই ফেরেন সাদমান ইসলাম। প্রথম ওভারেই তাকে তুলে নেন আফগান পেসার ইয়ামিন আহমেদজাই। এই ওপেনারকে উইকেটের পেছনে আফসার জাজাইয়ের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। রানের খাতায় খুলতেই পারেননি সাদমান। এ অবস্থায় অস্বস্তি নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ।
ফিরে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন লিটন দাস। তবে তাকে যথার্থ সঙ্গ দিতে পারেননি অপর ওপেনার সৌম্য সরকার। দলীয় ৩৮ রানে মোহাম্মদ নবীর এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। তাতে ভাঙে স্বাগতিকদের প্রাথমিক প্রতিরোধ।
ওয়ানডাউনে নামার কথা ছিল মুমিনুল হকের। তবে দ্রুত উইকেট হারানোয় ব্যাটিংঅর্ডারে পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। তার জায়গায় ব্যাট করতে নামেন লিটন দাস। দারুণ খেলছিলেন তিনি। বলের গুণাগুণ বজায় রেখে ব্যাট চালাচ্ছিলেন এই টপঅর্ডার। তবে সেটা ভালোভাবে নেননি সফরকারী অধিনায়ক রশিদ খান। সাধারণ এক বলে সোজা বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে লিটনের প্রতিরোধ ভাঙেন তিনি। ফেরার আগে করেন ৩৩ রান।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে আফগানিস্তান। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে স্বপ্নের মতো ব্যাটিং করে তারা। টেস্টে এক ইনিংসে তোলে দলীয় সর্বোচ্চ রান।
এর আগে টেস্ট ইতিহাসে আফগানিস্তানের দলীয় সর্বোচ্চ রান ছিল ৩১৪ রান। চলতি বছরের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দেরাদুন টেস্টে এই রান করে তারা।
আফগানিস্তানের হয়ে ১০২ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন রহমত শাহ। আফগানদের টেস্ট ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে রেকর্ডের পাতায় নাম লেখান তিনি। ৯২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন আসগর আফগান। অধিনায়ক রশিদ খান ফেরেন ৫১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে। এছাড়া উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান আফসার জাজাই করেন নান্দনিক ৪১ রান।
বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ইসলাম শিকার করেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট দখল করেন সাকিব আল হাসান ও নাঈম হাসান। এছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১টি করে উইকেট নেন।
