
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় মেয়াদোত্তীর্ণ তিন ইউপি নির্বাচনে (২৬ সেপ্টেম্বর) শনিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিনে আমিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. এস এম ইউনুচসহ একই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক পেয়ারু’র মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে মো. সাহাবউদ্দিন, ৮ নং ওয়ার্ডে মো. শাহ আলম, লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নে ১ নং ওয়ার্ডে আবুল কাশেম ও আব্দুল মান্নান এবং আধুনগর ইউনিয়নে সদস্য পদে ফরিদুল আলমসহ ৫ সদস্য পদ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। ঋণ খেলাপী ও তথ্যগত ভুলের কারণে এসব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছেন বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন কমিশন।
জানা যায়, লোহাগাড়ায় আগামী ২০ অক্টোবর মেয়াদোত্তীর্ণ তিন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে ১৮ জন , সাধারণ সদস্য পদে ১৩৮ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
এ প্রসঙ্গে আমিরাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এস এম ইউনুচ জানান, আমিরাবাদ ইউনিয়নে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকাকালীন এক নিকটাত্নীয়ের নেয়া একটি ব্যাংক ঋণের জামিনদার ছিলাম। পরবর্তীতে কিস্তির কিছু টাকা পরিশোধ না করায় আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এ বকেয়া টাকা পরিশোধ করে প্রার্থীতা বৈধ করতে আপিল শুনানিতে অংশ নিবো। আশা করছি টাকা পরিশোধের পর প্রার্থীতা ফিরে পাবো।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন রোমান খাঁন জানান, আমিরাবাদের ইউপি নির্বাচনে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট অনুযায়ী এরা দু’জন ঋণখেলাপী। তবে এ বাতিলের বিরুদ্ধে তাঁরা আাপিল করতে পারবেন। এছাড়া তথ্যগত ভূলত্রুটির কারণে ৫ ইউপি সদস্যের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।