ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ভাস্কর্য বির্তকের মধ্যে হঠাৎ হাটহাজারীতে মাওলানা মামুনুল হক

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

হঠাৎ করেই হাটহাজারী মাদ্রাসা ঘুরে গেলেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতাকারী বিতর্কিত হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক। মাত্র ১২ দিন আগেও যাকে চট্টগ্রামে প্রবেশ করতে না দিতে চট্টগ্রামের রাজপথ তীব্র উত্তাল ছিল, সেই মামুনুল হক বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে আকস্মিকভাবে হাটহাজারী মাদ্রাসা ঘুরে গেলেন।

হাটহাজারী মাদ্রাসার হঠাৎ এই সফরে মাওলানা মামুনুল হক জেয়ারত করেছেন হেফাজতের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর কবর। এরপর তিনি হেফাজতের নতুন আমির আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মাদ্রাসার শুরা কমিটির সদস্য মাওলানা শেখ আহমদ ও অপর শুরা সদস্য মাওলানা ইয়াহিয়ার সাথে পৃথক পৃথক ভাবে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতে তাদের মধ্যে কি আলোচনা হয়েছে তা জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিরোধী বক্তব্যের কারণে মামুনুল হক সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সহ চলমান বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি ঢাকা থেকে হাটহাজারী এসেছেন। এসময় তার দুই শিশু সন্তানও তার সাথে ছিল।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন ‘মাওলানা মামুনুল হক বিকেলে হাটহাজারী মাদ্রাসায় এসেছিলেন। তিনি আল্লামা শাহ আহমদ শফি হুজুরের কবর জেয়ারত করেছেন এবং হেফাজতের বর্তমান আমির সহ অন্যান্য হুজুরদের সাথে সাক্ষাৎ করে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। এরপর বিকেল ৫টার দিকে তিনি নিজ গাড়িতে করে ঢাকায় ফিরে যান।

.

সুত্র জানায়, গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে বক্তব্য রাখেন।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিরোধী বক্তব্যের কারণে সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। গত ২৭ নভেম্বর হাটহাজারীতে আল আমিন সংস্থার মাহফিলে যোগ দেয়ার কথা ছিল এই হেফাজত নেতার। কিন্তু চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠন মামুনুল হকের চট্টগ্রাম আগমন ঠেকাতে প্রতিরোধ কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। রাজপথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের তীব্র বাধার কারণে ও প্রশাসনের চাপের মুখে মামুনুল হক সেদিন মাহফিলের মঞ্চে উপস্থিত হননি।

এদিকে গত ৭ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে জুনায়েদ বাবুনগরী ও মামুনুল হক সহ তিন জনের বিরুদ্ধে দুটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলা দুটি তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেয়ায় ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে একটি মামলার আর্জিতে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীমকে আসামি করা হয়।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print