
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া গায়েবী মামলা ও গ্রেপ্তার করা নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে ও মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। নেতাকর্মীদের মুক্তি জানিয়ে চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে অবস্থান করেন তিনি। পরে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের আশ্বাস পেয়ে তিনি কমিশন কার্যালয় থেকে বেরিয়ে গণসংযোগে অংশ নেন।
এর আগে আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নগর বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি কমিশন কার্যালয়ে অবস্থানের কথা ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তাকে আমরা এ পর্যন্ত ৪০টি অভিযোগ দিয়েছি। এখনো কোন অভিযোগের সমাধান হয়নি। গত ৭ দিন ধরে যেসব মিথ্যা মামলা হয়েছে, এই মিথ্যা মামলায় যাতে গ্রেফতার করা না হয় সেজন্য কমিশনকে বলেছি এসব মামলা প্রত্যাহার করা হোক। যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।
ডা. শাহাদাত বলেন, গত ৭ দিন ধরে যে বিষয়টি লক্ষ্য করছি, কিছু গায়েবি ও সাজানো মামলা করা হয়েছে প্রতিটি থানায়। যে মামলাগুলো ২০১৮ সালের নির্বাচনের ঠিক ছয় মাস আগে থেকে দেখেছি। ১৯ জানুয়ারি থেকে প্রতিটি থানায় ১০টির বেশি মামলা করেছে। এক হাজারের অধিক আসামি করা হয়েছে। ৬৯ জনের অধিক গ্রেফতার করা হয়েছে গতকাল রাত পর্যন্ত
পুলিশের হয়রানি থেকে মহিলা, শিশুরা পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোববার রাতে বাকলিয়া থানায় নেত্রী মুন্নি ও তার ১২ বছরের শিশুকে ধরে নিয়ে গেছে। নাগরিক ঐক্য পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিমকে রোববার রাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় চকবাজার থানা পুলিশ। সঙ্গে তার ছেলেকেও ধরে নিয়ে যায়। ।
‘নির্বাচনের আগের কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে অভিযোগ করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মাস্তান, সন্ত্রাসী,ইয়াবা ব্যবসায়ী আর পুলিশের অতিউৎসাহি কিছু কর্মকর্তা পরিকল্পিতভাবে হামলা মামলা গ্রেফতার চালিয়ে যাচ্ছে। ‘গতকাল রবিবার রাত পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের ৬৯ জন নেতাকর্মীকে তুলে নিয়ে গেছে। এখনও বাসায় বাসায় তল্লাশী এবং ধরপাকড় অব্যাহত আছে।
শাহাদাত বলেন, ‘গতকাল রাত পর্যন্ত আমাদের ৪৯ নেতাকর্মীকে তুলে নিয়ে গেছে। আজ আমার কাছে আরও ২০ জনের লিস্ট আছে যাদের আটক করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে এখন পর্যন্ত ১০টা মামলা হয়েছে। গত ১৯ তারিখ থেকে এই মামলা ও গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ হাজার জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ব্যালট প্যানেলের সুরক্ষা চেয়েছেন শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তির জন্য নির্বাচন কমিশনে যাবো। রাত ১১টায়, এরপর ভোর রাতে আরও ৮-১০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে গতকাল ২০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্পূর্ণ তালিকা আমাদের কাছে আছে। এই তালিকা নিয়ে আমরা চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে যাবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।