
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা প্রায় ৮ হাজার বন্দী করোনার টিকার আওতায় এসেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) প্রথমদিন ৮শত বন্দীকে দেয়া হয়েছে টিকা।
সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম তদারকি করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।
উদ্বোধনী দিনে ৮’শ কারাবন্দীকে ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম কেন্দ্রিয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।
এসময় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ৭ হাজার ৮’শ কারাবন্দী রয়েছে। তাদেরকে বাদ দিয়ে আমরা সুরক্ষিত থাকতে পারিনা। সরকারের নির্দেশনায় তাদের প্রত্যেককে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট কার্ডে নাম, ঠিকানা ও পরিবারের মোবাইল নম্বর লিখে প্রথম দিন ৮’শ কারাবন্দীকে ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর মনে আছে তাদের নম্বর ঐ কার্ডে উল্লেখ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল বন্দীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। এটা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, কারাগারে থেকে যে সকল বন্দী প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে তাদেরকে সেখানে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। আবার যে সকল বন্দী প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নেয়ার পর জামিনে মুক্তি পাবে তারা বাইরে থেকে কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করতে পারবে। বিভিন্ন অপরাধে আসামী হয়ে যারা নতুনভাবে কারাগারে আসবে তাদেরকেও ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
কারাগারে টিকা প্রধান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কারাগারের ডিআইজি (প্রিজনস) একেএম ফজলুল হক। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মোঃ তারিকুল ইসলাম ও কারা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম রেজাসহ সংশ্লিষ্টরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।