
সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এখনও ৩ সদস্য নিখোঁজ আছে বলে দাবী করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিস্ফোরণের এ ঘটনায় ফায়ারর সার্ভিসের ৯ জন মারা গেছে।
আজ সোমবার (৬ জুন) বিকেলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের থেকে নিহত ও নিখোঁজ ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. শাজাহান সিকদার জানান, সীতাকুণ্ডের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সবার পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। বাকি নিখোঁজ ৩ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

গত শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় সৃষ্ট আগুন এবং রাত পৌণে ১১টায় কন্টেইনার বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে সোমবার পর্যন্ত যে ৯জন ফায়ারম্যানের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে তারা হলেন, কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারফাইটার মো. রানা মিয়া, তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট মনিরুজ্জামান, তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা ফায়ারফাইটার আলাউদ্দিন, মো. শাকিল তরফদার, রাঙ্গামাটি জেলার বাসিন্দা ও স্টেশন লিডার মিঠু দেওয়ান ও চাঁদপুরের মো. ইমরান হোসেন মজুমদার, রাঙ্গামাটি জেলার বাসিন্দা ও সীতাকুণ্ড স্টেশনের লিডার নিপন চাকমা, শেরপুর জেলার রমজানুল ইসলাম ও ফায়ারফাইটার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, তিনি ফেনীর বাসিন্দা।
যে ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন তারা হলেন, কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারফাইটার শফিউল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। নওগাঁ জেলার বাসিন্দা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ারফাইটার মো. রবিউল ইসলাম এবং একই স্টেশনের ফায়ারফাইটার ও রংপুরের বাসিন্দা ফরিদুজ্জামান।
জানা গেছে, আগুনের ঘটনার চলাকালীন আহত হন মোট ১৫ জন। তাদের মধ্যে এক ফায়ার সদস্য সুস্থ হয়ে স্টেশনে ফিরেছেন।
চট্টগ্রাম সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আছেন ১২ জন। দুজন ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ট্রিটমেন্ট ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন।