
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতি ছাড়াই চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ছে কেন্দ্রগুলোতে। আজ বুধবার (১১) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা শহরের শাকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাকতলা উচ্চবিদ্যালয় ও হোচ্ছামিয়া বিদ্যালয়ে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।
তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন—ইভিএমে ধীরগতির কারণে ভোট গ্রহণে দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন উপস্থিত ভোটাররা। এদিকে কোনো কোনো ভোটারের আঙুলের ছাপ মিলছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে রিটার্নিং অফিসার শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ধীরগতির বিষয়টা হচ্ছে, এখানে একজন ভোটার কিন্তু তিনটা ব্যালটে ভোট দেন। তারা ভোট দেওয়ার আগে চিন্তা করতে সময় নেন। এছাড়া এবারই প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন। এসব কারণে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

ইভিএমে কোনো কোনো ভোটারের আঙুলের ছাপ মিলছে না- এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রার্থীরা ভোটারের নাম ও স্লিপ দিয়েছেন। যথাযথভাবে আইডেন্টিফাই করা হয়েছে। অনেক সময় রেখার কারণে আঙুলের ছাপ মিলতে সমস্যা হতে পারে। একটু-আকটু সমস্যা হতে পারে। তবে যাদের ফিঙ্গার মিলছে না শেষ পর্যন্ত তারা ভোট দিতে পারবেন বলে আশাবাদী এই রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ইভিএম ডিভাইস ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বড় কোনো সমস্যা নেই। ছোটখাটো সমস্যা হলে আমাদের মোবাইল টিম তা সলভ করে দেন।
বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টায় কুসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে ৬৪০টি বুথে ভোট হচ্ছে ইভিএমে। এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুইজন।
মোট দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন ভোটার ১০৫টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ১০৫টি ভোট কেন্দ্রে ৬৪০টি বুথ রয়েছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে এবার পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২০১১ সালে গঠিত হওয়ার পর এটি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম নির্বাচন, যা সম্পূর্ণভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
মঙ্গলবার কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, বহুল আলোচিত নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শহরে কমপক্ষে ৭৫ টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৩ হাজার ৬০০ সদস্যকে মাঠে মোতায়েন করা হয়েছে।
সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ। দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু।