
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র আজ শেখ হাসিনার শিকলে বন্দী। দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে না, দিনের ভোট রাতে হয়। প্রতিবাদ করেন তাহলে আপনাকে মামলা খেতে হবে, জেলে যেতে হবে, নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হতে হবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী। এই দেশে মুসলমানের যেমন অধিকার আছে ঠিক তেমনি ভাবে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সকলের। এই বাংলাদেশ আমার আপনার আমাদের সকলের। এই সরকার বাংলাদেশকে চরম অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ফ্রন্ট সহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হবে। একদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, অন্যদিকে সসরকার দমনপীড়ন করছে।
তিনি শুক্রবার, বিকেলে মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন হলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট এর উদ্যোগে চট্টগ্রাম মহানগর , উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কর্মী সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশে মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই। জনগণের ভোটকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘ এক যুগের অধিক মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। ভোট কি জিনিস তা ভুলে গেছে জনগণ। তাই এই দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। আন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক রাজীব ধর তমালের সভাপতিত্বে বিপ্লব চৌধুরী বিল্লুর সঞ্চালনায় এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহ সম্পাদক ও ফ্রন্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা রায় দাস,উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুণ দে, উদয় কুসুম বড়ুয়া,নগর বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক ইয়াসিন চৌধুরীর লিটন,সদস্য মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, অধ্যাপক ঝন্টু বড়ুয়া, বাবু রঞ্জিত বড়ুয়া, নগর মহিলাদলের সাবেক সাধারণ সম্পাধিকা জেলি চৌধুরী, সুভাষ চন্দ্র দাস, মিল্টন বৈদ্য, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সীমান্ত দাস, বাবু পার্থ প্রতিম বড়ুয়া, অপু, অজয় সেন, ত্রিপুরা কোতোয়ালি থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ইউসুফ শিকদার, অপু সিংহ, দীপা দাস, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, সুকান্ত তালুকদার, জুয়েল, বাপ্পি দে, রুবেল দাস, প্রান্ত বসাক, সাজু দাস,সুকান্ত মজুমদার, সজীব দত্ত, মিঠুন দাস, মংগ্নু মারমা, বাপ্পি কান্তি দাস, জিকু দে, লিটন কান্তি দাস, রিগেন নন্দী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।