
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের বর্ধিক সভাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নগর বিএনপি কার্যালয় নাসিমন ভবনে এ সংর্ঘষে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দু’পক্ষ। এতে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে ইটের আঘাত এবং লাঠির আঘাতে টিপু ও ফোরকান ইকবাল নামে দুইজনের মাথা ফেটে যায়। গুরুতর আহত হয়েছে তসির মনির নামে একজন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনির জামা ছিঁড়ে যায় এবং আহত হন।
নবগঠিত উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল আবছার জুয়েল এবং সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনির উপস্থিতিতে নাসিমন ভবনের তৃতীয় তলায় উত্তরজেলা বিএনপির অফিসে সভা চলাকালে এ সংর্ঘষ ঘটনা ঘটে।
পরে নীচে মাঠে এসে পুলিশের উপস্থিতিতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, লাঠি দিয়ে পিটুনী এবং পাথর নিক্ষের করে দু’পক্ষ।
প্রায় ২৫ মিনিট দুপক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ চলাকালে এবং উত্তর জেলা কার্যালয়ে ব্যাপক চেয়ার টেবিল ভাঙচুর, ভবনের ব্যাপক কাঁচ ভাঙচুর চালায়। এসময় দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ দাড়িয়ে থেকে নীরব ভূমিকা পালন করে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ছাত্রদলের ছেলেরা নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে শুনেছি। এটি তাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় তাই আমাদের পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করেনি।

উত্তর জেলা ছাত্রদলের বর্তমান কমিটি বিএনপি নেতা লায়ন আসলাম চৌধুরী এবং মীর হেলাল সমর্র্থিত বলে জানাগেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, ছাত্রদলের দুপক্ষে কোন বিরোধ নয়। সভাপতি সেক্রেটারীর নেতৃত্বে কেন্দ্রিয় নির্দেশে বর্ধিত সভা চলাকালে বহিরাগত উৎশৃঙ্খল যুবকরা হামলা চালিয়েছে। পরে আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহিত করেছে। এতে ৭/৮ জন আহত হয়েছে।
উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি পাঠক ডট নিউজকে বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ সভা চলাকালে বহিরাগত যুবকরা সভা চলাকালে হামলা চালালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহিত করেছে। তিনি বলেন, আমি উপর থেকে নামার সময় সিড়িতে পড়ে সামান্য আহত হয়েছি।
ছাত্রদল নেতাদের সরবরাহ করা মারামারির ভিডিও: