ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পাহাড়তলীতে জোড়া খুন: মূল হোতা শ্রমিক লীগ নেতা ইলিয়াছসহ গ্রেপ্তার ৮

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

দুই পাশে নিহত দুই কিশোর। মাঝে গ্যাং লিডার ইলিয়াছ।

নারী ঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নগরীর পাহাড়তলী সাগরিকা রোড বিটেক এলাকায় ছুরিকাঘাতে জোড়া খুনের মূল হোতা কিশোর গ্যাং লিডার ও শ্রমিক লীগ নেতা মো. ইলিয়াছ মিঠুসহ (৪৫) আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদিকে জোড়া খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার (১০ মে) রাতে সিএমপির পাহাড়তলী থানায় গ্রেপ্তারকৃত ৮ জনসহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের চকরিয়ায় অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার বাকি সাতজন হলেন— আব্দুর রহিম ওরফে কার্তিক বনিক (২৯), রায়হান উদ্দিন (১৯), বিপ্লব মল্লিক ওরফে মো. বিপ্লব (২৮), রবিউল ইসলাম (২০), মো. শামীম (২৮), রবিউল হাসান হৃদয় (১৬) এবং সাগর দাশ (২০)।

চট্টগ্রাম ডিবি বন্দর জোনের উপ-কমিশনার (ডিবি) আলী হোসেন জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত ইলিয়াসকে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বাকি সাতজনকে থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আটজনসহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্যাং লিডার শ্রমিক লীগ নেতা ইলিয়াছ সহ গ্রেপ্তার হওয়া ৮ জন।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে-, সোমবার (৮ মে) বিকেলে সাগরিকা জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গেটের সিরাজুল ইসলাম শিহাব নামে এক কিশোর তার মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় তার পূর্ব পরিচিত অপর কিশোর রবিউল ইসলাম বলে ‘এই মেয়ে তোর সঙ্গে যায় না’। এ কথার পর দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তারা দুজনই তাদের বন্ধুকে খবর দিলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরী হয়।

এ নিয়ে রাতে ৮টার দিকে মীমাংসার জন্য জাতীয় শ্রমিক লীগ পাহাড়তলী থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াসের বিটাক মোড়ের অফিসে শালিশের আয়োজন করে উভয় পক্ষকে সে অফিসে যেতে বলে। সবাই সেখানে গেলে প্রাথমিক আলোচনার এক পর্যায়ে ইলিয়াস ‘শালাদের মার’ বলে নিদেশ দিলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এসময় কয়েকজন ভিকটিম মাসুম ও সজীবের পায়ে ছুরিকাঘাত করে। এতে তারা গুরুতর আহত হলে তাদের সঙ্গীরা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহত মাসুমের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর পরই অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূলহোতা ইলিয়াছকে কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকা থেকে এবং বাকি ৭ জনকে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সর্বশেষ

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মত চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে গমের জাহাজ

রাঙ্গুনিয়ায় পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু

ইসকন নিষিদ্ধের দাবীতে চট্টগ্রামে হেফাজতের বিক্ষোভ

মিরপুরে বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাজধানীর মিরপুরে পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট

চট্টগ্রাম বন্দর ও কর্ণফূলী নদীতে যৌথ অগ্নিনির্বাপণ মহড়া

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print