
জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, লাঙ্গল এর জয়ের জন্য এখন থেকেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর সোনালী সুদিন ফিরে পেতে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের বিজয়ী করতে তৃণমূলে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। কারণ দেশের মানুষ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। গণতন্ত্র আজ বিপন্ন, জাতি দিশেহারা।
তিনি গতকাল শুক্রবার হোটেল রেডিসন ব্লু বে-ভিউতে চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির উদ্যোগে রাজনৈতিক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, বিশিষ্টজনদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল। যে কোনো সময়ে নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টি প্রস্তুত। তাই বিশেষ করে চট্টগ্রাম থেকে আমরা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে কমপক্ষে ৫টি আসন উপহার দিয়ে প্রমাণ করতে চাই বীর চট্টলার মাটি, পল্লীবন্ধু এরশাদের দুর্জয় ঘাটি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এম.পি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে। ৯০ এর ৬ ডিসেম্বর বিনা রক্তপাতে স্বেচ্ছায় জাতীয় পার্টি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তর করার পর থেকেই জাতীয় পার্টিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র লেগেই আছে। কিন্তু পরম করুণময়ের অশেষ মেহেরবানীতে যারা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও জাতীয় পার্টিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। তাই ইতিহাস কথা বলে। ষড়যন্ত্রকারীরা এখন নিজেরাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, নিজেদের অবস্থান এখন বুড়িগঙ্গা নদীতে। তিনি বলেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি তথা লাঙ্গলের প্রার্থীকে বিজয়ী করুন।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নগর আহ্বায়ক সোলায়মান আলম শেঠ বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন আজ পর্যন্ত কোনো সরকার করতে পারেনি। তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছিলেন উচ্চ আসনে। পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বীরের জাতি হিসেবে। তাই বাংলাদেশের পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রেখে যাওয়ায় কাজগুলো সমাপ্তি করতে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিদ্র ব্যানার্জী, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ ও রাষ্ট্রদূত নুরুল আলম চৌধুরী, স.উ.ম আবদুস সামাদ, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিন মহিউদ্দিন, মহানগর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সায়রা বানু রুশ্মি, ওয়াসার এমডি ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজুল্লাহ, সাংসদ মৌলভী মুহাম্মদ ইলিয়াছ, সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান, সাংসদ মেহজাবীন মোর্শেদ, জাপার ভাইস চেয়ারম্যান মোর্শেদ মুরাদ ইব্রাহীম, শামসুল আলম মাস্টার, সাবেক এম.পি সিরাজুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মহিলা পার্টির নেত্রী মেহেজেবুন নেছা রহমান, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, জাপার যুগ্ম মহাসচিব দিদারুল কবির দিদার, শেঠ গ্রুপের চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম শেঠ, ওয়াহিদুল আলম শেঠ, উজায়ের আলম শেঠ, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় সদস্য এয়াকুব হোসেন, মো: আজম খান, কামাল উদ্দিন তালুকদার, নগর জাফার যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর মাহমুদ কামাল, শামসুল আলম দুলাল, মো: সালামত আলী, কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম, জহরলাল হাজারী প্রমুখ।