
রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ
ফসলি জমিতে ব্যবহারের জন্যে বাজার থেকে ক্রয়কৃত কিটনাশক বাসায় এনে রাখার পর সেই কিটনাশক খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো মাত্র দেড় বছরের শিশু কন্যা স্বরূপা চাকমা।  অাজ সোমবার দুপুরে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন দূরছড়ির শিজক এলাকায়।
নিহত শিশুটির পিতা বিথন চাকমা জানান, কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্যে কিটনাশকটি কিনে বাড়িতে এনে রেখেছিলাম। সকালে সবার অগোরচরে আমার মেয়েটি কিটনাশকের বোতলটি হাতে নিয়ে মুখে ঢেলে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার শরীর বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই ঘটনার পরপরই তাকে বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সোহেল চৌধুরী তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
উল্লেখ্য, রাঙামাটি শহরেও এই ধরনের অসতর্কতার কারনে এক বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসের ১৯ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ সন্তানকে ওষুধের পরিবর্তে ভুল করে মা বিষ পান করিয়ে দেয়ায় এক বছরের শিশু সন্তান জাহিদ হোসেন আলিফের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার রাঙামাটি শহরের কলেজ গেইট মন্ত্রীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির মা আয়েশা জানান, আলিফ গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলো। অন্যদিকে ঘরের সামনের পেঁপে গাছের পোকা নিধনের জন্যে ওষুধ এনেছিলো আলিফের বাবা। পোকা নিধনের বিষ ও আলিফের জ্বরের ওষুধ একসাথে রাখায় আলিফের মা ওষুধ খাওয়ানোর সময় ভুল করে পেঁপে গাছের পোকা নিধনের ওষুধ পান করিয়ে দেন। এতে শিশু আলিফের শরীর আরো অসুস’ হয়ে পরলে তাকে রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসক দীর্ঘক্ষণ প্রচেষ্টার পরেও বিষক্রিয়া শরীরে ছড়িয়ে পরায় তাকে বাঁচাতে পারেননি।
এই ধরনের ভূল কোনো ভাবেই কাম্য নয় মন্তব্য করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: শওকত আকবার খান জানান, পিতা-মাতার সচেতনতার অভাবে তাদের সামাস্য ভূলের মাশুল খুব নির্মমভাবে দিতে হয়েছে। বিষাক্ত ঔষধপত্র বা ক্ষতিকর জিনিসপত্র শিশুদের নাগারের বাইরে রাখার পাশাপাশি তাদের সামনে এই ধরনের সামগ্রীর ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকতে পিতা-মাতা, অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।
				
								
								
								