ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায় চবি ছাত্র নেজামকে

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

FB_IMG_1472486074195
প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে নেজাম উদ্দিনকে আটক করে নেয়ার ৪ দিন পরও খোঁজ মিলছে না।

“আমি আমার ছেলের সন্ধান চাই। আমার ছেলে কোন রাজনীতি করেনা। গত চার দিনেও জানতে পারি নাই আমার ছেলে কোথায় আছে কেমন আছে। পুলিশ ,র‌্যাব, ডিবি, সিআইডিসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর কেউ আমার কোন কথাই শুনছেনা। কারা আমার ছেলেকে দিনে দুপুরে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে গেল ? পুলিশ কেন আমাদের জিডি নিচ্ছেনা? তাহলে কি জনগনের নিরাপত্তায় পুলিশ ব্যর্থ ?”

বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অশ্রুসজল কন্ঠে এসব কথাগুলো বলছিলেন নিখোঁজ চবি শিক্ষার্থী নেজামের ষাটোর্ধ বৃদ্ধ বাবা আহমদ কবির।

গত ২৮ আগষ্ট নগরীর বাকলিয়া থানাধীন বড় মিঞা মসজিদ এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ৮/৯ জন লোক আইনশৃংখলা বাহিনীর লোক পরিচয়ে হাতকড়া পড়িয়ে তুলে নিয়ে যায় নেজামকে।

নেজাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে সম্প্রতি এলএলবি পরীক্ষা সমপন্ন করেছেন। পুরো নাম মো.নেজাম উদ্দিন। লেখাপড়ার পাশাপাশি পারিবারিক ব্যবসাও দেখাশুনা করতেন নেজাম।

IMG_20160831_112200
পরিবারের পক্ষ থেকে নেজামের খোঁজে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বৃদ্ধ পিতা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নেজামের ভাই আব্বাস উদ্দিন বলেন, ২৮ আগষ্ট বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি হাত মুখ ধোয়ার জন্য ওয়াশরুমে যান। তখন তার ভাই নেজাম রুমেই ছিল। আব্বাস ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখেন ৮/৯ জন অপরিচিত অস্ত্রধারী লোক তার ভাই নেজামকে পিচমোড়া করে হাতকড়া পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখে। তখন আব্বাস জিজ্ঞেস করেন কি হয়েছে ?

কি সমস্যা আমার ভাইকে কেন কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন ? তখন তারা অস্ত্র তাক করে বলে এই চুপ কোন কথা বলবিনা। এরপর তারা জিজ্ঞেস করে আমার মোবাইল নম্বর আমার ভাইয়ের মোবাইলে আছে কিনা । আমি বলি হ্যাঁ আছে। তখন তারা বলে পরে ঐ নাম্বাওে যোগাযোগ করিস । এ কথা বলে তারা একটি মাইক্রোবাসে তুলে আমার ভাইকে নিয়ে যায়।

এর পর আমি বিষয়টি ফোনে আমার বাড়ীতে বাবাকে জানাই। সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রথমে বাকলিয়া থানায় যাই। তারা জানান যে এ নামে কাউকে তারা আটক করেননি। এরপর বিষয়টি নিয়ে নিখোঁজ ডায়রী করতে চাইলে তারা আমাদের ডায়রী নেননি।

সংবাদ সম্মেলনে আব্বাস জানান, ঐ রাতে ডিবি পুলিশের অফিস, জেলা পুলিশের অফিস, র‌্যার অফিসসহ সম্ভাব্য সব জায়গাতে খোঁজ করি কিন্তু ভাইয়ের কোন সন্ধান পাইনি আজো।
আমরা ডিবি অফিসে গেলে প্রথমে একজন নেজাম সেখানে একটি রুমে আছে বলে জানালেও অপরজন বলে এখনে নাই। এর পর থেকেই বিভিন্নস্থানে খোঁজ করছি কেউ আমার ভাইয়ের কোন হদিস দেয়না।

আব্বাস আরো জানান, তার ভাই কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। পড়ালেখা আর ব্যবসা ছাড়া তিনি কিছুই বুঝতেননা। এর পরেও তিনি কোন দোষে দোষী হলে তাকে আইনের কাটগড়ায় দাড় করানো হোক। দেশে প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে। কিন্তু আমরা অন্তত জানতে পারবো যে আমাদের ভাই কি অবস্থায় আছে।

আব্বাস আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি প্রশ্ন করে বলেন যেখান থেকে তার ভাইকে তুলে নেয়া হয়েছে সে খঅনে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। ২৮ তারিখের ফুটেজ বিশ্লেষন করলেই তো আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। কারা ছিল আইনশৃংখলা বাহিনী পরিচয়ে ঐ ব্যক্তিরা।

এ দিকে এ ব্যাপারে বাকলিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর জানান, ২৮ আগষ্ট নেজামের আত্মীয়রা থানায় গিয়ে নেজামকে আটক করেছে কিনা জানতে চেয়েছিল। এর পর তারা আর থানায় যায় নি। আর এ নামের সেদিন কাউকে বাকলিয়া থানা পুলিশ আটক করেনি। তিনি বলেন, পুলিশের আরো অনেক গুলো ইউনিট রয়েছে তারা আটক করেছে কিনা তা তাঁর জানা নেই।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টচার্য্য বলেন এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print